সরকার মৌলবাদকে উস্কে দিচ্ছে, বিএনপি নয় : মির্জা ফখরুল

সরকার মৌলবাদকে উস্কে দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে তারা ছুঁতো খুঁজছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়া নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বতর্মান সরকার মৌলবাদকে উস্কে দিচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ণ করতে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে ছুঁতো খুঁজছে সরকার।’

এ সময় জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে মৌলবাদের কোনো সর্ম্পক নেই। ধর্মান্ধতা নয়, ধর্মীয় স্বাধীনতা বিশ্বাস করে বিএনপি। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে সবচেয়ে মৌলবাদের উত্থান হয়েছে।’

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলেও তা এড়িয়ে যান ফখরুল। বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গী নেই, তবে মৌলবাদ আছে। ফতোয়া জারির চুক্তি করে মৌলবাদের উত্থান ঘটানো হচ্ছে। ১৪ দলের মধ্যে কী মৌলবাদ নেই? আওয়ামী লীগ উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে। তারাই মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের হাল-হকিকত একই আছে। এই নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন আছে; ততদিন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত রক্ষা করতে এবং আন্দোলনে অংশ হিসেবে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে যেখানে বেকার হয়েছে অনেক শ্রমজীবী মানুষ, সেখানে চিনিকল বন্ধে সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে লাখ লাখ আখচাষী এবং হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বিপাকে পড়েছেন। সরকারের এই অমানবিক ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে একদিকে আখচাষীসহ চিনিকলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে বাজারে চিনির সংকট দেখা দেবে।’

দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নেই মন্তব্য করে ফখরুল আরও বলেন, ‘নানা জটিলতার কারণে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করছে না। এর মধ্যে চিনিকল বন্ধের সিন্ধান্ত হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

এই জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা আরও বলেন, ‘দেশের সংবাদপত্র গুলো ভয়ে নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। এখন সরকারের প্রপাগান্ডা চালানোর যন্ত্রে পরিণত হয়েছে গণমাধ্যমগুলো। সাংবাদিক কাজল, প্রথম আলোর মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নসাৎ করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন ফখরুল। গতকাল সোমবার রাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জেলা বিএনপির অর্থসম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button